বরগুনার চাঞ্চল্যকর রিফাত হ*** মামলার প্রধান দুই আসামি রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী। এই মামলায় আরও ১১ জন আসামি থাকলেও রিফাত-রিশানকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার মাত্রাটা একটু বেশি।
কারণ এরা আপন দুই ভাই। একই পরিবারের দুটি সন্তান কীভাবে স*ন্ত্রাসী এবং খু**ি হয়ে উঠলো তা নিয়ে বিস্মিত অনেকেই।
স্থানীয়রা বলছেন, রিফাত-রিশানের স*ন্ত্রাসী হয়ে ওথার অন্যতম কারণ তাদের বাবা দুলাল ফরাজী। প্রায় দুই যুগ আগে বরগুনা শহরের ধানসিঁড়ি এলাকায় কেনা জমিতে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন দুলাল ফরাজী।
ছেলেরা বড় হওয়ার পর তিনি এলাকায় রীতিমতো এক আতংকের নাম হয়ে উঠেছেন। ছেলেদের অপকর্মের অভিযোগ এলে তিনি শাসন তো করতেনই না, উল্টো অভিযোগকারীদের নানাভাবে হেনস্তা করতেন।
রিফাত শরীফ ‘কিলিং মিশনে’ নয়ন বন্ডের সঙ্গে সরাসরি অংশ নিয়েছিলেন রিফাত-রিশান। এলাকায় অপকর্মের কারণে বহু আগে থেকেই আলোচিত এই দুই ভাই। অভিভাবকের আস্কারার কারণেই তারা বখে গেছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। মানুষদের হেনস্তা করে টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া ছিল দু ভাইয়ের রুটিন কাজ। এই অপকর্মের টাকা দিয়েই তাদের সংসার চলতো বলে জানা যায়। বরগুনা শহরের পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে শিক্ষার্থীদের এমন কোনো মেস নেই যেখানে হানা দেয়নি রিফাত-রিশান। সবগুলো মেস থেকেই তারা চাঁদা তুলতো বলে অভিযোগ রয়েছে। রিফাত-রিশান তাদের এক প্রতিবেশীকে বছর দুয়েক আগে কু**** গুরুতর আ**ও করেছিলেন। এই সবগুলো অপকর্মেই বাবা দুলাল ফরাজী তাদের মদদ দিয়েছেন বলে জানা যায়।
রিফাত শরীফ হ***র পর দুই সন্তানের সঙ্গে দুলাল শরীফও গা ঢাকা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এরমধ্যে গতকাল বুধবার রিফাত গ্রে*** হলেও খোঁজ মেলেনি রিশানের। তাদের বাসায় বর্তমানে তালা ঝুলছে। বাড়ির সবাই কোথায় গেছে সে সম্পর্কে প্রতিবেশিরা কিছুই বলতে পারেনি।
সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলছেন, সন্তানের অপকর্মের জন্য বাবা-মাকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। কিন্তু সন্তানের যেকোনো খারাপ কাজে বাবা-মা যদি শাসন না করে উল্টো প্রশ্রয় দেয় সেটা তারাও সমানভাবেই অপরাধী।